নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে নৌকাডুবিতে নিহত ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবক সৈয়দ শাহ আলমের পরিবারকে সাত লাখ ৩৬ হাজার ৭০০ টাকা সহায়তা দিয়েছে সরকার। বুধবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান নিহত স্বেচ্ছাসেবকের স্ত্রী শারমিন জাহান আঁখির হাতে এ অর্থের চেক তুলে দেন।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আঘাত হানার পূর্ব মুহূর্তে গত ২০ মে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় স্থানীয়দের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার সময় নৌকা ডুবে মারা যান শাহ আলম। ১৯৮৪ সাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আগাম সতর্কতা সংকেত প্রচার, সতর্কীকরণ ও উদ্ধারে কাজ করে আসছিলেন তিনি। অনুদানের চেক গ্রহণ করে আঁখি বলেন, ‘আমার স্বামীর অকাল মৃত্যুতে আমরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। কিন্তু মানবতার সেবায় তিনি শহীদ হওয়ায় আমরা গর্বিত।’
আর্থিক সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী, ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
এ সময় ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবন টাকা নিয়ে মূল্যায়ন করা যায় না। আমরা সব সময় শাহ আলমের পরিবারের পাশে আছি। সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকদের কারণে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। এক সময় যেখানে ১০ লাখ লোক মারা যেত, এখন সেখানে ১০ জনও মারা যায় না। বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ায় দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জন করেছে।
সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকরা বিনা বেতন কাজ করেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স করতে যাচ্ছি। আমরা তাদের কিছু সম্মানী দেওয়ার চিন্তা করছি। কারণ তারা ঝুঁঁকি নিয়ে কষ্ট করে কাজ করছেন। তাদের সম্মানী দেওয়া হলে কাজে আরও উৎসাহ পাবেন। এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য হাফিজ আহমেদ, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত, ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন ও কলাপাড়া ইউনিয়নের সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের টিম লিডার মোতালেব হাওলাদার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।